Sunday, January 1, 2017

উনিশ বছর পর ফের ভিলেন কাজল!
তুমুল জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রীর নাম নিলে সবার আগে যিনি তালিকায় স্থান করে নেয়ার অধিকার রাখেন তিনি ‘কুচ কুচ হুতা হ্যায়’ খ্যাত তারকা অভিনেত্রী কাজল। অথচ গত তিন দশক ধরে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী দ্বিতীয়বারের মত দেখা যাবে ভিলেন হিসেবে!
হ্যাঁ। দীর্ঘ উনিশ বছর পর পর্দায় ফের ভিলেন হিসেবে আসতে যাচ্ছেন জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী কাজল। এর আগে ‘গুপ্ত’ নামের একটি ছবিতে নেগিটিভ রোলে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
উনিশ বছর আগে ববি দেওল ও মণীষা কৈরালার সঙ্গে পর্দায় ছিলেন কাজল। সেখানে তাকে ভিলেন হিসেবে প্রথম দেখা মেলে। এরপর আবারও ভিলেন হিসেবে দেখা যাওয়ার কথা তাকে। তবে বলিউডের ছবিতে নয়, বরং একটি তামিল ছবিতে নেগিটিভ রোলে দেখা মিলবে তার।
তামিল ইন্ডাস্ট্রির প্রভাবশালী অভিনেতা ধানুশের সঙ্গে ‘ভিআইপি-২’ ছবিতে নেগেটিভ চরিত্রে দেখা যাবে কাজলকে। দ্বিতীয়বারের মতো এরকম নেগেটিভ রোলে অভিনয়ের কথা জানিয়েছেন স্বয়ং কাজলই।
ছবিটি সম্পর্কে জানাতে গিয়ে কাজল বলেন, একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে প্রথমে তামিল ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেয়া হয় আমাকে। আমি প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেই। কিন্তু পরবর্তীতে আমাকে ছবির চিত্রনাট্য দেয়া হলে সেটা পড়ে আমি রাজি হই।
‘ভিআইপি’ তামিল ইন্ডাস্ট্রির একটি বাণিজ্যসফল এবং আলোচিত চলচ্চিত্র। তুমুল জনপ্রিয়তার জন্যই ছবিটির সিক্যুয়াল নির্মাণ করছেন নির্মাতা। ছবিটিতে ধানুশ কাজল ছাড়াও অভিনয় করবেন হৃষিকেশ, অমলা পাল ও শরন্যা।
কোহলিকে চেনেন না সানি লিওন!

ভারতে অনেকেই ক্রিকেটকে ধর্ম মনে করেন, আর ক্রিকেটারদের মনে করেন ঈশ্বর। ভারত এমনই একটা দেশ যেখানে নামীদামী তারকারাও সেদেশের ক্রিকেটারদের নিজেদের আইকন মনে করেন৷ কিন্তু এবার হালের বলিউড ডিভা সানি লিওন যে ঘটনা ঘটালেন সেটা জানলে আপনি অবাক হবেন। সেই সঙ্গে লজ্জাও পেতে পারেন৷
সম্প্রতি একটি সাক্ষাতকারে বলিউডের হট মডেল অভিনেত্রী সানি লিওনকে ক্রিকেট নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়৷ তবে ক্রিকেট নিয়ে প্রথম প্রশ্ন করার পরেই বোঝা যায় এ বিষয়টিতে তিনি একেবারেই অজ্ঞ। সানি লিওনকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ‘ক্রিকেটে সবথেকে সুদর্শন পুরুষ কাকে বলে মনে করেন তিনি ?’ উত্তরে এই বলিউড অভিনেত্রী বলেন, ‘সচিন টেন্ডুলকর। ’ এরপর সানিকে জিজ্ঞাসা করা হয়, বিরাট কোহলিকে তার কেমন লাগে?
উত্তরে সানি লিওন বলেন, তিনি নাকি বিরাট কোহলিকে চেনেন না। এই মুহূর্তে কেরিয়ারের সেরা ফর্মে থাকা ভারতের টেস্ট অধিনায়ককে না চেনাটা সত্যি সকলকে অবাক করেছে।

বিশ্বের সর্বোচ্চ তাপ প্রতিরোধী বস্তুর সন্ধান

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তাপ প্রতিরোধী বস্তুর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। দীর্ঘ গবেষণার পর এই বস্তু উদ্ভাবন করেছেন ইম্পেরিয়াল কলেজ অফ লন্ডনের গবেষকরা। নতুন এই পদার্থ প্রায় ৪ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও অবিকৃত থাকে বলে দাবি তাদের।
বিশ্বের সমস্ত তাপ প্রতিরোধী পদার্থই কোনো না কোনো ধাতুর কার্বাইড ‌যৌগ। ধাতুর সঙ্গে বিক্রিয়া করে ম্যাজিক দেখায় কার্বন। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গবেষকরা ট্যান্টালাম নামে এটি ধাতুর কারবাইড ‌যৌগের (TaC) সঙ্গে হাফনিয়াম নামে আরেকটি ধাতুর কার্বাইড মিশিয়ে তৈরি করেছেন নতুন এক পদার্থ, ‌যা ৩,৯০৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তামপামাত্রেতেও গলে না।

নতুন এই পদার্থ হাইপারসনিক মহাকাশ‌যানের তাপবর্ম তৈরি করতে কাজে লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সমস্যা একটাই, ট্যান্টালাম ও হাফনিয়াম পৃথিবীতে পাওয়া ‌যায় খুব কম।
ঐশ্বরিয়াকে বাদ দিলেন অভিষেক

ঐশ্বরিয়া ও অভিষেক বচ্চনের সংসারজীবন বেশ সুখের বলেই সবার জানা। তবে এখন ভালো যাচ্ছে না তাদের সম্পর্ক। স¤প্রতি অভিষেক তার হোম প্রোডাকশন থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছেন ঐশ্বরিয়াকে। খুব শিগগিরই নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে ‘লেফটি’ ছবির কাজ শুরু করবেন অভিষেক। প্রভুদেবার পরিচালনায় এই থ্রিলার ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করবেন অভিষেক। অনেকেই ভেবেছিলেন, অনেক দিন পর অভিষেক-ঐশ্বর্য জুটিকে ফের দেখা যাবে পর্দায়। কিন্তু না! ঐশ্বর্য নন। বরং আরো কম বয়েসের নায়িকা খুঁজছেন অভিষেক। নতুন মুখের খোঁজ করতে টিমকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অভিষেকের মতে, নায়িকার চরিত্রটির জন্য ঐশ্বর্য উপযুক্ত নন। তিনি অতিরিক্ত ম্যাচিওর।

সোনালি রঙে রাঙানো হবে পদ্মা সেতু

পদ্মার বুকে এ দেশের কোটি কোটি মানুষের আশার সেতু গড়ে উঠছে, যার নাম পদ্মা সেতু। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হবে। এখন থেকেই পদ্মা পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন অনেকে। তবে স্বপ্নের সেই সেতুর রং কেমন হবে? কেউ ভাবছেন রং হবে ধূসর, কেউবা ভাবছেন রং হবে কালো। না, এর কোনোটিই নয়। সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, পদ্মা সেতুর রং হবে সোনালি।
সোনালি সেতু গড়ার কাজ এক মুহূর্ত থেমে নেই। মুন্সিগঞ্জের মাওয়া আর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে এজন্য হাজারো শ্রমিকের দম ফেলার সময় নেই। তাঁদের ঘামঝরানো শ্রমে এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতু। যতই দিন যাচ্ছে, দৃষ্টির ভেতরে চলে আসতে শুরু করেছে সেতুর কাঠামোগুলো। যেখান দিয়ে যানবাহন ও ট্রেন চলবে, সেই স্প্যানগুলোর বেশ কটি তৈরি হওয়ার পথে। এ রকম ৪১টি স্প্যান স্থাপন করা হবে পদ্মা সেতুর পিয়ারের (পিলার) ওপর। দুটি স্প্যান প্রস্তুত হওয়ার পথে। কিছুটা সোনালি, কিছুটা হলদে রঙের। একটি স্প্যান তো পুরোপুরি প্রস্তুত করে রাখা আছে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু প্রকল্পের অ্যাসেম্বলি ওয়ার্কশপের সামনে খোলা জায়গায়।
অ্যাসেম্বলি ওয়ার্কশপের সামনে দাঁড়ালে মনে হবে, প্রস্তুত হওয়া স্প্যানটি যেন একটি সেতু। সেখানে কিছু সময় থাকলে পদ্মা সেতুর একটি কাল্পনিক চিত্র মনের অন্তরালে উঁকি দেবে।
গত ২৭ ডিসেম্বর সরেজমিনে পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কংক্রিটের তৈরি স্তম্ভের ওপর প্রস্তুত হওয়া স্প্যানটি অস্থায়ীভাবে বসানো হয়েছে। পৌষের রোদমাখা শীতে সূর্যের আলো পড়ায় সোনারঙের স্প্যানটি জ¦লজ¦ল করছিল।
পিয়ার তৈরি হলেই সেতু গড়ার কাজের গতি আরও বেড়ে যাবে। পিয়ারের ওপর ক্যাপ বসিয়ে তার ওপর একেক করে একেকটি স্প্যান স্থাপন করা হবে। এর মাঝখানে হবে রেলপথ। এর ওপরে কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে করা হবে যানবাহনের চলাচলের পথ। স্প্যান স্থাপনের জন্য বিশাল একটি ক্রেনও চলে এসেছে গত নভেম্বর মাসে।
সাদা রঙের এই ক্রেনকে ভেসে থাকতে দেখা গেছে মাওয়ায় পদ্মাপাড় থেকে মাইল খানেক দূরে। ক্রেনটি দেখতে সুউচ্চ একটি ভবনের মতো। স্পিডবোটে কাছে গেলে ক্রেনের শক্তি-সামর্থ্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। ক্রেনের মধ্যে আছে চারতলার ভবন। ভবনটি অনেকটা হালকা নীল রঙের। এই ভবন থেকেই ক্রেনটি পরিচালনা করা হয়, যে কাজটি করবেন চীনের প্রকৌশলীরা।
তৈরি হওয়া স্প্যানগুলোকে পদ্মার পানিতে ভাসিয়ে নেবে সাড়ে তিন হাজার মেট্রিক টন ওজনের এই ক্রেন। তারপর নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে উঁচু করে পিয়ারের ক্যাপের ওপর বসিয়ে দেবে একটি করে স্প্যান। মূল সেতুতে ২৪০টি পিয়ার আর দুই পাড়ে ১৬টি করে ৩২টি পিয়ার তৈরি করা হবে। এর মধ্যে মূল সেতুর ৩৬টি ও দুই পাড়ের দুটি পিয়ার বসানো হয়ে গেছে।
পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, স্টিল দিয়ে করা হয়েছে স্প্যান। স্প্যানের বিম তৈরি করা হচ্ছে চীনের শিং হোয়াং দাও নামের একটি শহরে। সেখান থেকে বিমগুলো সাগর পাড়ি দিয়ে জাহাজে করে আনা হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরে। বন্দর থেকে সোজা পদ্মার অ্যাসেম্বলি ওয়ার্কশপে। এই ওয়ার্কশপের চীনা প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে বিম সংযোজন করে স্প্যান প্রস্তুত করা হচ্ছে।
প্রস্তুত হওয়া স্প্যানটি ১৫০ মিটার দীর্ঘ, ১২ মিটার প্রশস্ত। এই ১২ মিটারের ওপর কংক্রিটের ২২ মিটারের ডেক বসানো হবে। এই তো কয়েক দিন আগে প্রস্তুত হওয়া স্প্যানটির ওপর দুই হাজার মেট্রিক টন ওজন বসিয়ে লোড টেস্ট বা ওজন পরীক্ষা করানো হয়েছে।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী (সেতু) দেওয়ান মো. আবদুল কাদের  বলেন, এমনভাবে সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে যে একটি স্প্যান অন্য স্থানে স্থাপন করা যাবে না। এমনকি এর একটি নাটবল্টু অন্য জায়গায় বসিয়ে দেওয়া যাবে না। প্রতিটি স্প্যানেরই আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কারণ, পদ্মা সেতুটি দেখতে হবে ইংরেজি বর্ণ ‘এস’-এর আদলে।
শুরুতেই বলা হয়েছিল, পুরো পদ্মা সেতুর রং হবে সোনালি রঙের। কারণ হিসেবে দেওয়ান আবদুল কাদের বলেন, সেতুটির কাঠামোর বড় একটি অংশ স্টিল ও লোহার তৈরি। বেশি তাপ পড়লে এর কাঠামোর ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। সোনালি রং সূর্যের অধিক তাপ শোষণ করে না। তাই পদ্মা সেতুর রং হবে সোনালি।

Recent Posts

Middel Bellow Long

Square Top

Popular Posts

Text Widget